
যশোর-৪ আসনে আলোচনার শীর্ষে খাজা মেহেদী শিকদার
- আপলোড সময় : ১৬-০৯-২০২৫ ০৫:৫৫:২৪ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ১৬-০৯-২০২৫ ০৫:৫৫:২৪ অপরাহ্ন


আগামী ত্রয়োদ্বশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৪ আসনে (বাঘারপাড়া, অভয়নগর ও বসুন্দিয়া) নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন জুলাই আগস্ট আন্দোলনে রাজপথে নেতৃত্ব দেওয়া সাবেক ছাত্রনেতা ও সাংবাদিক খাজা মেহেদী শিকদার। তরুণ প্রজন্মের এই নেতা জুলাই বিপ্লবের সময় রাজধানীর বাংলামটর মোটর থেকে পুলিশের গুলি ও ছাত্রলীগের হামলার শিকার হন। ইতোমধ্যে নিজ এলাকায় ও রাজনৈতিক মহলের কাছে তিনি ইতিবাচক হিসেবে বেশ পরিচিতি পেয়েছেন। একজন প্রগতিশীল-জনবান্ধব ও বর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এলাকার গরীব-দু:খী অসহায় মানুষের কল্যানে নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি। গতকাল সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) বাগানে তিনি এসব কথা জানান।
যশোর-৪ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী তরুণ প্রজন্মের নেতা খাজা মেহেদী শিকদার বলেন, আমি দীর্ঘ ১৭ বছর ছাত্র জীবন থেকেই রাজপথে ছিলাম কর্মজীবনে এসেও বারবার হোঁচট খেয়েছি কিন্তু কিছু হাঁটিনি—আন্দোলন সংগ্রামে সব সময় নিজেকে সবর রেখেছি। আমি যেহেতু একটি নিরপেক্ষ ও সুশীল পেশায় কাজ করি, সেহেতু এই পেশায় থেকে প্রকাশ্যে, অপ্রকাশ্যে, গোপনে, অথবা যেভাবেই হোক না কেন স্বৈরাচারী পতনে? রাজপথে ছিলাম। আমার রাজপথে থাকা নিয়ে অন্তত কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবে না। তবে রাজপথ নিয়ে ঢোল পেটাতে আমি পছন্দ করি না। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে সাবেক রাষ্ট্রপতি মেজর শহীদ জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া প্রতিষ্ঠিত দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিকে পছন্দ করি। আমি একজন সাবেক ছাত্রনেতা। বেশ কয়েকটি পদ পদবী পিছনে ফেলে এসেছি-সাংবাদিকতা করার সুবাদে দৈনিক রূপালী বাংলাদেশ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে ক্রাইম ও বিএনপি বিটের সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত রয়েছি। অর্থাৎ আমি বলতে চাচ্ছি অনেক জায়গায় বিএনপি’র লোকজন ৫ তারিখের পর বের হয়েছে অনেকে রাজপথে না থেকে জুলাই বিপ্লবের আন্দোলনের দাবিদার। সেই তুলনায় আমি জুলাই বিপ্লবে হামলার শিকার হয়েছি পুলিশের গুলি খেয়েছি এবং রাজপথে সবর ছিলাম। এছাড়া এলাকার মানুষ যদি চায় এই আসন থেকে আমাকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বেছে নিবেন। তাহলে আমি নিজেকে আরো শক্তভাবে মাঠের সরব হবো। খাজা শিকদার শুধুমাত্র রাজনীতিক নন,তিনি সামাজিক উন্নয়নের কাজেও সক্রিয়। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, যুবসমাজের উন্নয়ন, ক্রীড়া ও সংস্কৃতিমূলক কর্মকাণ্ডে তার অবদান ব্যাপক প্রশংসিত। স্থানীয়রা মনে করেন, এমন তরুণ নেতৃত্ব আমাদের এলাকায় সবসময় প্রয়োজন। তবে এলাকাবাসী জানান, যশোর- ৪ আসনে এনসিপির এক তরুণ নেতাকে হয়তো মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে। অনেকেই সেই নেতাকে চেনেন না— তবে অত্র এলাকার লোকজন তরুণ প্রজন্মের একজন নেতা হিসেবে খাজা মেহেদী শিকদারকে চেনেন এবং জানেন। তিনি অত্র এলাকার মানুষের চোখে একজন ভালো মানুষ ও ভালো ছেলে হিসেবে পরিচিত। একজন সাংবাদিক হিসেবে তিনি সত্যনিষ্ঠা ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সংবাদমাধ্যমে তার কাজের মাধ্যমে জনগণের সমস্যা তুলে ধরা ও সামাজিক সচেতনতা তৈরি করা হয়। এই অভিজ্ঞতা তাকে প্রার্থী হিসেবে সাধারণ মানুষের মাঝে আরও গ্রহণযোগ্য করেছে। তিনি সরকারি তিতুমীর কলেজে লেখাপড়ার সুবাদে বর্তমান ক্ষমতাধর একটি রাজনৈতিক সংগঠনে যুক্ত হন। এরপর একে একে ঐই সংগঠনের ৫ টি পদের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি নির্ভীক সাংবাদিকতা শুরু করেন। তিনি পেশাদার সাংবাদিকতা করার সুবাদে দীর্ঘদিন ধরে ক্রাইম ও বিএনপি বিটে কর্মরত আছেন। কাজ করেছেন দেশের বিভিন্ন শীর্ষ গণমাধ্যমে। তরুণ এই সুশীল ব্যক্তি, যশোর-৪ আসন এলাকার অবহেলিত ও গণমানুষের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে স্বাধীন (সতন্ত্র) এমপি প্রার্থী হিসেবে খাজা শিকদার ইতিমধ্যেই নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন। তিনি ঢাকায় থাকার সুবাদে যশোর ৪ আসনের ঢাকাস্থ ও ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ, সুবিধা অসুবিধা ও বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে নিজের উপস্থিতি মজবুত করছেন। তিনি বলেন, আমি মানুষের সেবায় বিশ্বাস করি। যদি ভোটাররা আমাকে সুযোগ দেন, আমি বাঘারপাড়া, বসুন্দিয়া ও অভয়নগরকে উন্নয়নের মডেল হিসেবে গড়ে তুলব।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ